Slide 1
The Four Noble Truths
Image is not available

The Four Noble Truths (Chattari Ariyasaccani) form the foundation of Buddhist philosophy. They were first taught by Gautama Buddha in his first sermon at Deer Park in Sarnath after attaining enlightenment...

Slide 2
Children are Like Clay
Image is not available

Just as a potter shapes clay into a useful object, children can be molded into virtuous beings through proper guidance and education.

Slide 3
Because Only Together We Can
Image is not available

Build a community Where All Are Safe, Strong & Valued

previous arrowprevious arrow
next arrownext arrow

California Vinaya Buddhist Vihara

The word ‘CALIFORNIA’ indicates the geographical location of the state and ‘VINAYA’ means leading out, education, discipline. ‘BUDDHIST VIHARA’ means Buddhist Church and numerous Buddhist worshiping places with the name of Vihara.‘VINAYA’ AND ‘VIHARA’ both words are commonly used in Buddhist tradition.

Vinaya( Pali and Sanskrit, literally meaning “leading out”, “education”, “discipline “,)is the regulatory framework for the Sangha or monastic community of Buddhism based on the canonical texts called the Vinaya pitaka. The teachings of the Gautama Buddha can be divided into two broad categories: dharma “doctrine “ and Vinaya “discipline “.

Vinaya is the  disciplinary code for self training laid down by the Buddha for monks, nuns and lay devotees to observe. Vinaya plays a pivotal role in their monastic way of life.

According to the Buddha the best form of Vinaya was to discipline the mind, words and action. In the first category are the Universal laws which restricted all immoral and harmful evil deeds. The second category of rules applied almost directly to the monks and nuns in the observance of manners, traditions, duties, customs and etiquette.

The third category of the disciplinary code for lay devotees shows how a layman or laywoman can live a virtuous and noble life without renouncing the worldly life. The Buddha’s advice to lay people is contained in such discourses as the Mangala, Parabhava, Sigalovada, Vasala and Vygghapajja and many other discourses.

Many Vinaya rules apply only to those who have renounced worldly life. Of course a layman or laywoman may follow some of the rules if they help him to develop greater spirituality.

The important rule to be  observed is that no immoral, cruel, harmful and indecent acts are created and that the sensitivities of others are respected. If the monks, nuns and lay people can lead their lives as honest, kind , harmless and understanding human beings by maintaining their human dignity and discipline, then such qualities will be appreciated in any part of the world. Maintaining the so-called traditions and customs of their respective countries of origin have little to do with the essence of the Dharma as taught by the Buddha

Meet Ven. Vinaya Nanda

Ven. Vinaya Nanda was born on January 1, 1973, in North Jaldi, Banskhali, Chittagong, Bangladesh, to Late Bibhuti Barua and Kusuma Barua. From an early age, he showed a deep interest in both education and spiritual practice, which laid the foundation for his future as a devoted Buddhist monk.

He holds academic degrees in Political Science (B.S.S. Honours, M.S.S) from Chittagong University, and a Bachelor of Education from Bangladesh National University. His religious education includes the title of Sutra Visãrada from the Pali and Sanskrit Board of Dhaka, a B.A. in Buddhist Philosophy (Special) from the Buddhist and Pali University of Sri Lanka, and a Graduation in Mahayana Buddhism from Peopsusa Sangha University, South Korea.

Ven. Vinaya Nanda received his Higher Ordination on June 24, 2005, for the second time in Sri Lanka, deepening his commitment to the monastic path. Through his life of study, discipline, and service, he continues to inspire others with the teachings of the Buddha, promoting peace, compassion, and mindful living.

Gallery

What We Do

01.

— We Strengthen

We strengthen our hearts with compassion, as it opens the path to peace. Through compassion and wisdom, we fortify the heart to embrace all beings.

02.

— We Build Networks

Each thought and gesture strengthens the network of unity among all beings.Through mindful actions, we weave a web of compassion and trust.

03.

— We Find & Fund

Through mindful giving, we fund hope and create paths for a brighter future.In our unity, we find the strength to uplift the orphaned and bring healing.

04.

— We Educate

We educate with wisdom, nurturing minds to seek the truth.We educate not just with words, but with the example of a mindful life.

 

05.

— We Provide Care

We provide care with a heart full of compassion and understanding.Care is a gift, and we give it freely to all who are in need.

06.

— We Consult

We consult with wisdom, listening deeply to understand the true needs.Through mindful guidance, we help others find their path with confidence.

Impact Stories

মার হল মনের কুমতি , কাম লালসার প্রলুব্ধকারী শয়তান।পঞ্চমার হলো –১) দেবপুত্রমার,২)অভিসংস্কার -মার,৩) ক্লেশ মার,৪) স্কন্ধ-মার ,৫)মৃত‍্যু-মার প্রভৃতি বোঝায়।১) দেবপুত্র -মার:দেবপুত্র মার হল পরনির্মিত বশবর্তী স্বর্গের অধিপতি শক্তির দেবতাই দেবপুত্রমার। আমরা সকলেই জানি সিদ্ধার্থ গৌতম গয়ার মহাবোধিমূলে শুভ বৈশাখী পূর্ণিমায় এই দেবপুত্র মার রাজাকে পরাভূত করে বুদ্ধত্ব বা বোধিজ্ঞান লাভে সক্ষম হন।কোন সত্ত্বই যাতে কামলোকের নাগালের বাইরে গিয়ে নির্বাণ লাভ করতে না পারে সেজন্য বশবর্তী দেবপুত্রমার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রুপে ভাবনা অনুশীলনকারীদেরকে নানাভাবে প্রলোভিত করে, ভয় দেখায় এবং ধ‍্যান থেকে চ‍্যুত করতে চায়। দু:খ মুক্তির নির্বাণ লাভ করার প্রয়োজন নেই, সুখ ভোগের মাধ্যমে সংসার চক্রে আবদ্ধ রাখাই বশবর্তী দেবপুত্র মারের কাজ।২) অভিসংস্কার মার:অভিসংস্কার মার ‘ভোগ চেতনা মার’ নামে পরিচিত । কুম্ভকার কাদামাটিকে পরিমর্দন করে ঘট প্রস্তুত করে।অভিসংস্কার মার ও সত্ত্বগণকে কামলোক, রুপলোক ও অরুপলোকে জন্মগ্রহণ করায় ।এ মারের প্রভাবে সত্ত্বগণ জন্ম-জন্মান্তরকাল ব‍্যাপী দু:খ ভোগ করে।উৎপন্ন সংস্কার ( কর্ম) সমূহ চিত্তের মধ‍্যে বদ্ধমূল স্থায়ী করে দেওয়া এই মারের কাজ।অভি এক অর্থে অতিরিক্ত । সুতরাং অভিসংস্কার বলতে ইহ জন্মের সংস্কার ছাড়া ও অতীত অতীত জন্মের অতিরিক্ত সংস্কার গুলিকে বোঝায় । ধ‍্যানের সময় উপচার সমাধি আরম্ভ হলে পূর্বের সংস্কারগুলি দেখা দেয়, তা অনন্ত জন্মের ও হতে পারে। সেগুলি চিত্ত সন্ততিতে সুপ্তাকারে সঞ্চিত ছিল।যেমন , পূর্বে ছিল না এমন কিছু কিছু উপসর্গারুপ তীব্র দু:খ বা ব‍্যথা, বেদনা ভাবনাকালে উদ্রেক হতে দেখা যায়।কোন কোন ধ‍্যানী কাঁদতে থাকেন, আবার অনেককেই দারুণভাবে হাসতে ও দেখা যায়। অনেকেই কখনো কখনো মারামারি করবার উদ্দ‍্যোগ নিয়ে হাত পা ছুঁড়তে থাকেন।কোন সময় সাষ্টাঙ্গে বন্দনা করতে ও দেখা যায়।আবার অনেক সময় আগে উপলব্ধি করা হয়নি এরুপ শারীরিক প্রতিক্রিয়া ও আরম্ভ হয়ে যায় ।প্রসঙ্গত: এক সময় একজন শ্রেষ্ঠী ভগবান বুদ্ধের নিকট ক্ষীণাস্রব ভিক্ষুদের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন ।বুদ্ধ শ্রেষ্ঠীকে নির্দিষ্ট ভিক্ষু প্রবরদের নিমন্ত্রণ করতে বললেন । শ্রেষ্ঠী তাঁদের নিকট গিয়ে দেখতে পেলেন যে কোন কোন ভিক্ষু মাটিতে আঁচর কাটছেন, কেউ বা গাছের ডাল দোলাচ্ছেন আবার কেউ বা আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে আছেন ।এতে শ্রেষ্ঠীর মনে ভিক্ষুগণ ক্ষীণাস্রব কিনা সন্দেহের সঞ্চার হয়। শ্রেষ্ঠী বুদ্ধের নিকট হতাশ হয়ে ফিরে গেলে তিনি শ্রেষ্ঠীর মনোভাব বুঝতে পেরে বললেন উক্ত ভিক্ষু প্রবরেরা ক্ষীণাস্রব( অর্হৎ)। পূর্ব জন্মে তাঁরা কেউ বা নক্ষত্রবিদ, কেউ বা বানর আবার কেউ বা কেঁচো ছিলেন বলে সংস্কারবশে সেরুপ স্বভাব স্বভাব ব‍্যক্ত করছিলেন।প্রকৃতপক্ষে তাঁরা সবাই অর্হৎ। সে কারণে যোগীগণ ও পূর্ব সংস্কার প্রভাবে অনুরুপ শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হলে স্মৃতি ভাবনার দ্বারা সে সে প্রতিক্রিয়া প্রতিহত করতে হবে। অথবা এরূপ আলম্বন দেখা দিলে, আচার্যের নির্দেশ অনুসারে দক্ষতার সাথে স্মৃতি ভাবনায় জেনে জেনে উক্ত উপক্লেশ সমূহ নিরসন করে ক্রমান্বয়ে অন্তর্দৃষ্টি সহকারে ধ্যানের গভীরতম অবস্থায় পৌঁছতে হবে ।৩) ক্লেশ মার:জন্ম-জন্মান্তর পরিক্রমার পথে সত্ত্বগণকে দু:খ বা কষ্ট দেয় বলে নিম্নলিখিত কারণগুলিকে ক্লেশ বলা হয়েছে । যে সকল জৈব উপাদান মানুষের চিত্ত কলুষিত, পরিতপ্ত, ব‍্যাধিগ্রস্থ , মলিন, নীচ, হীন ও ঘৃণিত করে সে সবই ক্লেশ। এগুলি দশ প্রকার, যথা- ১) লোভ, ২) দ্বেষ, ৩) মোহ, ৪) মান, ৫) মিথ্যাদৃষ্টি, ৬) বিচিকিচ্ছা , ৭) স্ত‍্যান-মিদ্ধ, ৮) ঔদ্ধত্য, ৯) অহ্রী ও ১০) অনপত্রপা ।এগুলি চিত্ত সন্ততিতে উৎপন্ন হয়ে চিত্তের অকুশল বৃত্তিকে সুপ্তভাবে থেকে ভারী করে এবং দান, শীল ও ভাবনা কাজে বাধা প্রদান করে বলে ক্লেশ বলা হয়।এরা নীবরণ আকারে ও ধ‍্যানে বাধা সৃষ্টি করে।এই মার মানুষ বা সত্ত্বগণের চিত্তকে নানাবিধ অপকর্মেনিয়োজিত করে, চারি অপায়ে নিক্ষিপ্ত করে এবং মহাদু:খে পতিত করায় । ক্লেশ মারের কারণে সত্ত্বগণ বিভ্রান্ত হয়ে নানা প্রকার পাপ কর্মে লিপ্ত হয় ।যার কারণে তারা ইহ জীবনে মহাদু:খ ভোগ করে এবং মৃত‍্যুর পর নরক, তির্যক, প্রেত ও অসুর ভূমিতে জন্মগ্রহণ করে অনন্তকাল ধরে অপায় দু:খ ভোগ করে।৪) স্কন্ধ মার:রুপ, বেদনা, সংজ্ঞা , সংস্কার ও বিজ্ঞানকে স্কন্ধ মার বলে।জীবদেহ পঞ্চস্কন্ধ সমন্বয়ে গঠিত । এ পঞ্চস্কন্ধের কারণে সত্ত্বগণ বিরামহীন ভাবে উৎপন্ন ( জন্ম) হচ্ছে । এই জন্ম বা দেহই দু:খের আগার বলে তা মার নামে পরিচিত । এ জন্মে শীল ভঙ্গের কারণে কতগুলি কায়িক, বাচনিক ও মানসিক কু-অভ্যাস রপ্ত হয়ে থাকে । যেমন, বাজে কথা বলা, হাত পা নাড়া বা মাথা দোলাতে কথা বলা, চঞ্চল স্বভাবের কারণে নানা অঙ্গ-ভঙ্গি ব‍্যক্ত করা, বিনা কারণে শরীর কুণ্ডায়ণ করা, আর ও কত কি!৫) মৃত‍্যু মার:মৃত‍্যুকে মার বলা হয় এই কারণে, যে যোগী যখন অত‍্যন্ত দক্ষতা ও একাগ্রতার সাথে ধ‍্যানানুশীলন করতে করতে ক্রমশ: গভীরে প্রবেশ করতে যাবেন অর্থাৎ যেন পরিকর্ম -ধ‍্যান সমাপ্ত করে গোত্রভূ ধ‍্যানে প্রবিষ্ট হবেন, এমতাবস্থায় তাঁর আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁকে মৃত্যু বরণ করতে হয়।এজন‍্য মৃত‍্যুকে মার রুপে চিহ্নিত করা হয়েছে।এই মৃত‍্যুরুপী মার যতকাল পর্যন্ত সত্ত্বগণ নির্বাণ রাজ‍্যে প্রবেশ না করে তৎকাল পর্যন্ত সত্ত্বগণকে গ্রাস করে থাকে। [...] Read more...
১)জন্ম নিয়তই দু:খ এবং ২) মিথ‍্যে ধারণা প্রসূত অহমিকা পরিত‍্যাগের মাঝে পরম সুখ। মানবজাতির সমস‍্যা সমূহ হয় বাহিরের অন‍্য কেহ বা অন‍্য কিছু নতুবা , নিজে আত্মক্লেশ দ্বারা আরোপিত হয়ে দু:খ সমস‍্যায় পর্যবসিত হয়েছে। কেহ দু:খকে কামনা করে না বলে এটা হচ্ছে প্রতিটি মানুষের প্রাথমিক সমস‍্যা। উক্ত দুটো বাণীতে বুদ্ধ দু:খকে ‘জন্মগ্রহণ’ করার কারণ বলে প্রতীয়মান করেন।অর্থাৎ জন্ম নিয়তই দু:খ; এবং তিনি সুখকে মিথ‍্যে ধারণা প্রসূত অহমিকার বিলোপসাধন বলে প্রতীয়মান করেন। এখানে আমাদের মধ‍্যে অনেকেই ‘জন্ম’ বলতে মাতৃগর্ভ থেকে সরাসরি সশরীরে ভূমিষ্ট হওয়া মনে করি। কিন্তু তিনি তা বলেননি।তিনি যদি তা বুঝাতেন তাহলে মিথ‍্যে ধারণাপ্রসূত অহমিকা পরিত‍্যাগের মাঝে পরম সুখ এ কথা বলতেন না।এ বাণী পরিষ্কাররুপে নির্দেশ করে যে , দু:খ সমূহের কারণ মিথ‍্যে ধারণা প্রসূত অহমিকা থেকে।এই মিথ‍্যে ধারণা অহমিকার মূলোৎপাটনের মধ‍্য দিয়ে লাভ করা যায় পরম সুখ। তাই ‘দু:খ’ প্রকৃতপক্ষে মিথ‍্যে ধারণা প্রসূত “আমি”, “আমি হই”, “আমার আছে” এর মধ‍্যেই নিহিত। তাহলে পরিষ্কারভাবে আমরা বলতে পারি “জন্ম” অহমিকাবোধের উৎপত্তি ছাড়া কিছুই নয়। অহমিকা বা অহংকার সর্বমোট নয় প্রকার। যথা (১) অমি শ্রেষ্ঠের শ্রেষ্ঠ, (২) আমি শ্রেষ্ঠের সদৃশ, (৩) আমি শ্রেষ্ঠ, অপেক্ষা হীন, (৪) আমি সদৃশের শ্রেষ্ঠ, (৫) আমি সদৃশের সদৃশ, (৬) আমি সদৃশ অপেক্ষা হীন, (৭) আমি অধমের উত্তম, (৮) আমি অধমের সদৃশ, (৯) আমি অধম অপেক্ষা অধম। এই ৯ প্রকার অহংকার ধ্বংস করলে, ১০৮ প্রকার তৃষ্ণা ক্ষয় করলে, ৬২ প্রকার মিথ্যাদৃষ্টি ছিন্ন করলে দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়া যায়, অর্হত্ত্ব লাভ করা যায়। ৯ প্রকার অহংকার থাকলে দুঃখ পেতে হয়, ১০৮ প্রকার তৃষ্ণা থাকলে দুঃখ পেতে হয়, ৬২ প্রকার মিথ্যাদৃষ্টি থাকলে দুঃখ পেতে হয়। সে অবস্থায় কিছুতেই দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়া যায় না, অর্হত্ত্ব লাভ করা যায় না। অর্হত্ত্ব লাভ হলে ৯ প্রকার অহংকার, ১০৮ প্রকার তৃষ্ণা, ৬২ প্রকার মিথ্যাদৃষ্টি থাকে না। তাই অর্হৎগণ পরম সুখে অবস্থান করেন। বর্তমানে আমরা কেন দুঃখ পাচ্ছি? ৯ প্রকার অহংকারের কারণে, ১০৮ প্রকার তৃষ্ণার কারণে, ৬২ প্রকার মিথ্যাদৃষ্টির কারণে দুঃখ পাচ্ছি । সেই দুঃখ থেকে মুক্ত হতে চাইলে আমাদের সামনে একটি মাত্র পথ রয়েছে। পথটি হলো ৯ প্রকার অহংকার ধ্বংস করা, ১০৮ প্রকার তৃষ্ণা ধ্বংস করা, ৬২ প্রকার মিথ্যাদৃষ্টি ছিন্ন করা। পরম পূজ‍্য বনভান্তে বলেন – “উঁচু নিচু সমান নিয়ে পৃথিবী গঠিত, ইহা হলো ধরার ধর্ম ভূগোলে পঠিত।” লোকের মধ‍্যে তাহা আছে নিত‍্য দেখা যায়, কেহ ধনী কেহ গরীব কেহ সমপর্যায় আমি আমি করে সবে ‘আমি’অর্থ কি? আমি’র অর্থ জানলে লোকে নিজকে বলে ছি:! ধনে জনে মানে আমি কি আছে তোর? আমি জ্যেষ্ঠ আমি শ্রেষ্ঠ জুড়ি নাই মোর। আমি গরিব আমি ছোট আমি হীন মান, আমি নীচ জানে সবে করে হীন জ্ঞান। আমি আছি তোমার সমান ধনে মানে জনে, আমার সমান সবে আছে বলি মনে মনে। আমি নামে কিছু নাই আমিত্বের আকর, আয়ু শেষে হয় শুধু যমের চাকর। আমি আমি ত্যাগ কর তার নাম আমিত্ব, আমির খোলস ফেললে পাবে অচ্যুত মহত্ব ।। (বি: দ্রষ্টব‍্য: আমিত্ব কে বিস্তারিত জানার জন‍্য বাঁশখালীর জন্মজাত বুড্ডিষ্ট স্কলার ও কবি ,সাবেক ব‍্যাংকার বাবু মনীদ্র লাল বড়ুয়ার অনুদিত “আমিত্বে বিপত্তি “ বইটি একটি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ।) [...] Read more...
মার কি?মানুষকে মারে বলে মার। বৌদ্ধ মতে মার , হিন্দু মতে শনি, ইসলাম মতে শয়তান। মারের কাজ হলো অকুশল কর্ম, অজ্ঞানমূলক কর্ম করতে বাধ্য করা। মার পুণ‍্য কর্ম সম্পাদনে বাধা দেয়, দু:খ মুক্তিতে বাধা দেয় । মার কাউকে সহজে দু:খ হতে মুক্ত হতে দেয় না। তিন মার কন্যা ও তাদের স্বভাব:মার কন‍্যা তিনজনের নাম হলো ১) রতি, ২) অরতি, ৩) তৃঞ্চা ১) রতির স্বভাব: অনুরাগ ও আসক্তি। ২) অরতির স্বভাব: হিংসা , ঘৃণা ও ক্রোধ ইত্যাদি । ৩) তৃঞ্চার স্বভাব: বাসনা , আকাঙ্ক্ষা ও ভোগেচ্ছা। মার রাজকে পরাজিত করার দশটি অস্ত্রবল কি? সিদ্ধার্থ দশটি অস্ত্র বল দ্বারা মার রাজকে পরাজিত করেন। যথা : – ১) দান , ২) শীল , ৩) সাহস, ৪) ধৈর্য্য, ৫) সত‍্য, ৬) সিদ্ধান্ত, ৭) মৈত্রী, ৮) সমজ্ঞান, ৯) নীতি এবং ১০) নিষ্ঠা। পাঁচ প্রকার সাধনার অন্তরায় কি? 1. ক্লেশান্তরায়: লোভ, দ্বেষ, মোহ , মান, দৃষ্টি, সন্দেহ, স্ত‍্যান, ঔদ্ধত্য, অহ্রী( লজ্জাহীনতা) ও অনপত্রপা ( ভয়হীনতা) এই দশবিধ ক্লেশ থেকে উৎপন্ন হয় বলে অহেতুক দৃষ্টি, অক্রিয়াদৃষ্টি ও নাস্তিক দৃষ্টির নাম ক্লেশান্তরায়। অন্তরের ক্লেশের প্রাবল‍্যহেতু মানুষ মনে করে এ জগতে স্থাবর-জঙ্গম, সম্পদ , যতপ্রাণী, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রাদি জাগতিক সব পদার্থের সৃষ্টির মূলে কোন হেতু নেই, প্রত‍্যয় নেই।কোন ইচ্ছাময়ের ইচ্ছা শক্তিতেই সব পদার্থের সৃষ্টি ও বিলয় ঘটে থাকে। হেতু এবং প্রত‍্যয় সম্পর্কে অবিশ্বাস সূচক ধারণাকে অহেতুক দৃষ্টি বলে। মানুষ মনে করে এ জগতে দান, শীল ও ভাবনা বলতে কোনরুপ কুশল কর্ম কিংবা প্রাণী হিংসা, চুরি, ব‍্যভিচার , মিথ্যা, নেশাপান বলতে কোনরুপ অকুশল কর্ম নেই। কুশলাকুশল কর্মের ফল বলতে কিছু নেই।যা কিছু করা যায়- করার সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু নি:শেষ হয়ে যায় । সংক্ষেপে কর্ম ও ফলে অবিশ্বাস সূচক এরুপ ধারণাকে অক্রিয় দৃষ্টি বলে। মানুষ মনে করে , ইহজন্মে কুশলাকুশল কর্ম করা হলে ও ভবিষ্যৎ জন্মে সেগুলির কোন বিপাক ফলবে না।অতীত কর্মের কোনরুপ ফল বর্তমান জন্মে সংক্রামিত হয় না অর্থাৎ অতীত অনাগত জন্মে অবিশ্বাস সূচক ধারণাকে নাস্তিক দৃষ্টি বলে। ক্লেশের অতিরিক্ত তারণায় মানুষের অন্তরে এরুপ ধারণা জন্মে । 2. বিপাকান্তরায়: অকুশল অহেতুক বিপাক “ উপেক্ষা সহগত সন্তীরণ চিত্ত।” কুশল অহেতুক বিপাক “উপেক্ষা সহগত সন্তীরণ চিত্ত” এবং কামাবচর শোভন চিত্তের চার প্রকার জ্ঞান বিপ্রযুক্ত দ্বিহেতুক বিপাক চিত্ত, এই ছয় প্রকার বিপাক চিত্তের অন্যতম চিত্তে যাদের জন্ম তাদের পক্ষে ইহ জীবনে উন্নত জ্ঞান বা মার্গফল লাভ সম্ভবপর নহে বলে তারা বিপাকান্তরায়। 3. কর্মান্তরায়: মাতৃহত‍্যা, পিতৃহত‍্যা , অর্হৎ হত‍্যা , দ্বেষ চিত্তে বুদ্ধের দেহ হতে রক্তপাত ও সংঘভেদ এই সকল কর্ম স্বর্গ মোক্ষের বিঘ্ন বলে সেসব কর্মান্তরায়। 4. আজ্ঞাতিক্রমান্তরায়: বিনয় শাস্ত্রে ভিক্ষু ভিক্ষুণীর জন‍্য আদেশ নিষেধ সূচক যে সকল নীতি উদ্ধৃত আছে তা লঙ্ঘন করাকে আজ্ঞাতিক্রমান্তরায় বলে। 5. উপবাদান্তরায়: মাতা-পিতা , আচার্য-উপাধ‍্যায়, গুরু স্থানীয় শীলবান ধার্মিক লোকের প্রতি বিশেষ করে আর্য পুরুষের প্রতি নিন্দা, অপবাদ করা উপবাদান্তরায়।এই সকল কর্ম সাধনার বিঘ্ন স্বরুপ। যার জীবনে এই সকল অন্তরায়কর কর্মের প্রভাব নিহিত আছে তার সাধন পথে প্রগতি অসম্ভব। এই জন‍্য তারা অন্তরায় বা আবরণ নামে অভিহিত। ভাবনা প্রয়াসীর জীবন এ সকল অন্তরায় থেকে সম্পূর্ণরূপে শুদ্ধ মুক্ত কিনা তা লক্ষ‍্য করার বিষয়। অন্তরায়গ্রস্ত হলে সাধন পথে অগ্রগতি পদে পদে ব‍্যাহত হয়। পক্ষান্তরে সর্ববিধ অন্তরায় মুক্ত হয়ে ভাবনা ব্রত গ্রহণ বিধেয় ।তাতে অনায়াসে সাফল্য লাভের সমধিক সম্ভাবনা ।আর প্রতিকার সাপেক্ষ অন্তরায় গুলোকে পূর্বেই সংশোধন করে নিতে পারলে অনেক উপকৃত হওয়া যায়। কেননা প্রতিকারাতীত অন্তরায় থাকলে অনেক সময় সকল প্রচেষ্টা সর্বতোভাবে ব্যর্থ হয়ে যায়। কাজেই উদ্দেশ্যের সাফল্য লাভের পক্ষে সকলদিকে আনুকূল্য বিবেচনার পর ব্রত গ্রহণ বাঞ্জনীয়।   [...] Read more...

Publications